নিয়ন্ত্রণ এবং সমন্বয়সাধন ক্লাস 10
প্রশ্নাবলি ও উত্তর
১. প্রতিবর্ত ক্রিয়া এবং হাঁটার মধ্যে পার্থক্য কী?
উত্তর: (1) সংজ্ঞা: প্রতিবর্ত ক্রিয়া হলো তাত্ক্ষণিক এবং স্বয়ংক্রিয় প্রতিক্রিয়া, যেখানে মস্তিষ্কের অংশগ্রহণ প্রয়োজন হয় না। হাঁটা হলো একটি ইচ্ছাকৃত কার্যকলাপ। (2) দ্রুততা: প্রতিবর্ত ক্রিয়া দ্রুত ঘটে, যেমন হাতের তাত্ক্ষণিক প্রত্যাহার, হাঁটার জন্য সময় প্রয়োজন। (3) নিয়ন্ত্রণ: প্রতিবর্ত ক্রিয়া স্পাইনাল কর্ড দ্বারা নিয়ন্ত্রিত, হাঁটা মস্তিষ্ক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। (4) উদাহরণ: প্রতিবর্ত ক্রিয়া যেমন একটি জ্বলন্ত বস্তু স্পর্শ করা, হাঁটা একটি দৈনন্দিন কার্যকলাপ। (5) অভিজ্ঞতা: প্রতিবর্ত ক্রিয়া জন্মগত, হাঁটা শিখতে হয়।
২. দুটি নিউরোনের মধ্যবর্তী সাইন্যাপসে কী ঘটে?
উত্তর: (1) সিগন্যাল স্থানান্তর: এক নিউরনের অ্যাক্সন থেকে সিগন্যাল অন্য নিউরনের ডেনড্রাইটে স্থানান্তরিত হয়। (2) নিউরোট্রান্সমিটার: সিগন্যাল স্থানান্তরের জন্য নিউরোট্রান্সমিটার রসায়নিক পদার্থ হিসেবে কাজ করে। (3) সক্রিয়তা: নিউরোট্রান্সমিটার স্নায়ু কোষের সিগন্যাল প্রক্রিয়া ও প্রেরণে সাহায্য করে। (4) গতি: এই প্রক্রিয়ায় সিগন্যাল ধীরে ধীরে নিউরনের মধ্যে চলে যায়। (5) বৈজ্ঞানিক গুরুত্ব: সাইনাপস নিউরনের মধ্যে যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা করে, যা শারীরিক কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ।
৩. মস্তিষ্কের কোন্ অংশটি দেহভঙ্গি এবং দেহের ভারসাম্য বজায় রাখে?
উত্তর: (1) সারিব্রেলাম: দেহভঙ্গি ও ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণের প্রধান অংশ। (2) কাজ: এটি শরীরের অবস্থান নির্ধারণ করে এবং পেশীসমূহের সমন্বয় ঘটায়। (3) সিগন্যাল: ভারসাম্য বজায় রাখতে সেন্সরি তথ্য ব্যবহার করে। (4) প্রভাব: মস্তিষ্কের অন্যান্য অংশের সাথে সমন্বয় করে কার্যক্রম সম্পন্ন করে। (5) গুরুত্ব: এটি শরীরের কার্যক্রমের সঠিকতা ও দক্ষতা নিশ্চিত করে।
৪. আমরা কীভাবে একটি ধূপকাঠির গন্ধ শনাক্ত করতে পারি?
উত্তর: (1) গন্ধ শণাক্তকরণ: গন্ধকণা (অলফ্যাক্টরি) কোষের মাধ্যমে ঘটে। (2) মাথার অংশ: অলফ্যাক্টরি নার্ভ গন্ধকণাকে মস্তিষ্কে প্রেরণ করে। (3) মস্তিষ্কের অংশ: গন্ধ শনাক্ত করতে মস্তিষ্কের অলফ্যাক্টরি বাল্ব সক্রিয় হয়। (4) প্রতিক্রিয়া: গন্ধ শনাক্তের ফলে স্মৃতি এবং অনুভূতি জড়িত হয়। (5) গুরুত্ব: খাদ্য নির্বাচন ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত সিদ্ধান্তে সহায়ক।
৫. প্রতিবর্ত ক্রিয়ায় মস্তিষ্কের ভূমিকা কী?
উত্তর: (1) স্নায়ু প্রতিক্রিয়া: প্রতিবর্ত ক্রিয়া মূলত মস্তিষ্কের বাইরে ঘটে, কিন্তু প্রাথমিক সিগন্যাল মস্তিষ্ক থেকে আসে। (2) মস্তিষ্কের ভূমিকা: এটা একটি শিক্ষিত প্রতিক্রিয়া হিসেবে কাজ করতে পারে। (3) শিক্ষণ: পূর্বের অভিজ্ঞতা থেকে মস্তিষ্ক পরিস্থিতি বুঝতে সাহায্য করে। (4) ফলাফল: মস্তিষ্ক ভবিষ্যতে আরো উন্নত প্রতিক্রিয়া তৈরিতে সহায়তা করে। (5) সংবেদনশীলতা: মস্তিষ্কের ভূমিকা প্রতিবর্ত ক্রিয়া নিয়ে সময়মতো সিদ্ধান্ত নিতে গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্নাবলি ২
১. উদ্ভিদ হরমোনগুলো কী কী?
উত্তর: (1) অক্সিন: বৃদ্ধির জন্য প্রধান হরমোন, কান্ডের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে। (2) গিবারেলিন: অঙ্কুরোদ্গম ও বৃদ্ধিতে সহায়ক। (3) সাইটোকাইনিন: কোষ বিভাজন ও বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। (4) অ্যাবসিসিক অ্যাসিড: জল স্ট্রেসের সময় উদ্ভিদের সুরক্ষা করে। (5) ইথিলিন: ফলের পাকার প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে।
২. সংবেদী উদ্ভিদের পাতায় চলন ও কান্ডের আলোক অভিমুখী চলনের মধ্যে কী পার্থক্য রয়েছে?
উত্তর: (1) পাতার চলন: পাতাগুলি সূর্যের দিকে মোড় নেয়। (2) কাণ্ডের চলন: কান্ড আলো গ্রহণের জন্য উপরের দিকে বৃদ্ধি পায়। (3) প্রধান উদ্দেশ্য: পাতার চলন আলোক শোষণ বাড়ানো, কান্ডের চলন সর্বোচ্চ আলো পাওয়া। (4) উদাহরণ: আলোক অভিমুখী চলনে উদ্ভিদ আলোর উৎসের দিকে মনোনিবেশ করে। (5) বৈজ্ঞানিক গুরুত্ব: এই চলনগুলি উদ্ভিদের পুষ্টির উন্নতিতে সহায়ক।
৩. এমন একটি উদ্ভিদ হরমোনের উদাহরণ দাও যা উদ্ভিদের বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করে।
উত্তর: অক্সিন উদ্ভিদের বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করে। এটি বিশেষত কান্ডের বৃদ্ধি এবং শিকড়ের বিকাশে সহায়ক।
৪. অক্সিন কীভাবে একটি অবলম্বনকে ঘিরে থাকা আকর্ষের বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করে?
উত্তর: (1) অক্সিনের কার্য: অক্সিন অবলম্বনের পাশে ঘন ঘন সঞ্চালিত হয়। (2) বৃদ্ধি: এটি একটি নির্দিষ্ট দিকে বৃদ্ধি বাড়ায়, ফলে অবলম্বন ঘিরে আকর্ষ তৈরি হয়। (3) আলোক অভিমুখী চলন: অক্সিন আলোর দিকে বৃদ্ধি ঘটায়। (4) রসায়নিক পরিবর্তন: এটি কোষের বৃদ্ধি বাড়াতে সহায়ক। (5) প্রভাব: এটি অবলম্বনকে সঠিকভাবে ঘিরে আকর্ষের সৃষ্টি করে।
৫. জলবৃত্তীয় চলন প্রদর্শনের জন্য একটি পরীক্ষার নক্সা তৈরি করো।
উত্তর: (1) উপকরণ: একটি সেচকারী, একটি প্লাস্টিকের টিউব, জল এবং একটি গাছ। (2) পদ্ধতি:
জল একটি সেচকারী থেকে টিউবে প্রবাহিত করুন।
টিউবের মাধ্যমে জল গাছের শিকড়ে পৌঁছান। (3) দর্শনীয়তা: জল এবং খনিজ কিভাবে গাছের শিকড় থেকে পাতা পর্যন্ত চলে। (4) মন্তব্য: জলবৃত্তীয় চলন উদ্ভিদের জন্য অপরিহার্য। (5) উপসংহার: জলবৃত্তীয় চলন উদ্ভিদের বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
প্রশ্নাবলি ৩
১. প্রাণীদেহে কীভাবে রাসায়নিক সমন্বয় সাধন হয়?
উত্তর: (1) এনজাইমের কার্য: রাসায়নিক প্রতিক্রিয়া দ্রুত করার জন্য এনজাইম সহায়ক। (2) রক্তের ভূমিকা: রক্ত পুষ্টি ও অক্সিজেন পরিবহন করে। (3) হরমোনের কার্য: হরমোন বিভিন্ন শারীরিক প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে। (4) প্রতিক্রিয়া: শরীরে প্রয়োজনীয় রাসায়নিক প্রতিক্রিয়া সমন্বয় সাধিত হয়। (5) উদাহরণ: গ্লুকোজের বিপাক রাসায়নিক সমন্বয়ের উদাহরণ।
২. আয়োডিন লবনের ব্যবহার যুক্তিযুক্ত কেন?
উত্তর: (1) থাইরয়েড ফাংশন: আয়োডিন থাইরয়েড হরমোনের উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয়। (2) ডেফিসিয়েন্সি: আয়োডিনের অভাব গলগণ্ডের সৃষ্টি করে। (3) শারীরিক বৃদ্ধি: এটি শারীরিক বৃদ্ধি ও উন্নয়নে সহায়ক। (4) অভাবের প্রভাব: আয়োডিনের অভাবে শারীরিক ও মানসিক সমস্যা হয়। (5) প্রয়োগ: আয়োডিন লবন সাধারণ খাবারে ব্যবহৃত হয়।
৩. রক্তে অ্যাড্রিনালিন ক্ষরিত হলে আমাদের দেহ কীভাবে সাড়া দেয়?
উত্তর: (1) ফাইট-অর-ফ্লাইট প্রতিক্রিয়া: অ্যাড্রিনালিন দেহকে সংকটের সময় সাড়া দিতে প্রস্তুত করে। (2) হার্ট রেট বৃদ্ধি: হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি পায়, যা রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। (3) শ্বাস প্রশ্বাসের বৃদ্ধি: শ্বাসের হার বাড়িয়ে অক্সিজেনের চাহিদা পূরণ করে। (4) পেশীর শক্তি: শক্তির উৎপাদন বৃদ্ধি করে যাতে দেহ দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে। (5) গুরুত্ব: এটি জরুরী অবস্থায় দেহের সঠিক প্রতিক্রিয়া নিশ্চিত করে।
৪. মধুমেহ রোগের চিকিৎসায় কিছু রোগীকে ইনসুলিন ইনজেকশান দেওয়া হয় কেন?
উত্তর: (1) ইনসুলিনের ভূমিকা: ইনসুলিন গ্লুকোজের শোষণ ও ব্যবহারকে নিয়ন্ত্রণ করে। (2) মধুমেহ রোগ: এ রোগে ইনসুলিনের অভাব ঘটে বা দেহ সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারে না। (3) ইনজেকশনের প্রয়োজন: রক্তের গ্লুকোজ স্তর নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। (4) শারীরবৃত্তীয় প্রভাব: ইনসুলিন গ্রহণ করলে শরীরের শক্তি উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। (5) স্বাস্থ্য রক্ষা: এটি রোগীর স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সহায়ক।
অনুশীলনী
১. নীচের কোনটি একটি উদ্ভিদ হরমোন?
(ক) ইনসুলিন
(খ) থাইরোক্সিন
(গ) ইস্ট্রোজেন
(ঘ) সাইটোকাইনিন
উত্তর: (ঘ) সাইটোকাইনিন
২. দুটি নিউরোনের মধ্যবর্তী ফাঁকা স্থানটিকে বলা হয়
(ক) ডেনড্রাইট
(খ) সাইন্যাপস
(গ) অ্যাক্সন
(ঘ) স্নায়ুস্পন্দন
উত্তর: (খ) সাইন্যাপস
৩. মস্তিষ্কের জন্য দায়ী
(ক) চিন্তন
(খ) হৃদস্পন্দন নিয়ন্ত্রণ
(গ) দেহের ভারসাম্য রক্ষা
(ঘ) উপরের সবকটি
উত্তর: (ঘ) উপরের সবকটি
৪. আমাদের দেহে গ্রাহক সমূহের কাজ কী? এমন একটি পরিস্থিতির কথা চিন্তা করো, যেখানে গ্রাহকগুলো সঠিকভাবে কাজ করে না এবং এরফলে কী কী সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে?
উত্তর: গ্রাহক সমূহ (রিসেপ্টর) সিগন্যাল গ্রহণ করে এবং শরীরের প্রতিক্রিয়া নির্ধারণ করে। সঠিকভাবে কাজ না করলে, দেহের কার্যক্রম বিঘ্নিত হয়, যেমন হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, যা বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
৫. একটি নিউরোনের গঠনের চিত্র অঙ্কন করো এবং এর কাজ ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: নিউরনের গঠন:
সেল বডি: নিউরনের কেন্দ্র।
ডেনড্রাইট: সিগন্যাল গ্রহণ করে।
অ্যাক্সন: সিগন্যাল প্রেরণ করে।
মাইলোইন শীট: সিগন্যালের গতি বাড়ায়। নিউরন তথ্য সংবেদন ও প্রক্রিয়াকরণের জন্য দায়ী।
৬. উদ্ভিদে আলোক বৃত্তিচলন কীভাবে ঘটে?
উত্তর: আলোক বৃত্তিচলন হলো উদ্ভিদের আলোর প্রতি প্রতিক্রিয়া। এটি হরমোনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয়, যেখানে অক্সিন পত্র এবং কান্ডের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
৭. সুষুম্মাকান্ডে আঘাতের কারণে কোন সংকেতগুলো বিঘ্নিত হবে?
উত্তর: সুষুম্মাকাণ্ডে আঘাত হলে সেন্সরি এবং মোটর সংকেত বিঘ্নিত হয়, ফলে শরীরের বিভিন্ন অংশের কার্যক্রম বিপর্যস্ত হতে পারে।
৮. উদ্ভিদদেহে রাসায়নিক সমন্বয়সাধন কীভাবে ঘটে?
উত্তর: উদ্ভিদদেহে রাসায়নিক সমন্বয় সাধিত হয় হরমোন এবং এনজাইমের সাহায্যে, যা বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে।
৯. জীবদেহে নিয়ন্ত্রন এবং সমন্বয় সাধনের জন্য একটি তন্ত্রের কী প্রয়োজন হয়?
উত্তর: জীবদেহে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় সাধনের জন্য স্নায়ুতন্ত্র ও হরমোন নিয়ন্ত্রিত পদ্ধতির প্রয়োজন হয়, যা বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়াকে সমন্বয় করে।
১০. অনৈচ্ছিক ক্রিয়া এবং প্রতিবর্ত ক্রিয়া একে অপর থেকে কীভাবে পৃথক হয়?
উত্তর: অনৈচ্ছিক ক্রিয়া ইচ্ছাকৃত এবং নিয়ন্ত্রিত, যেখানে মস্তিষ্কের অংশগ্রহণ থাকে। প্রতিবর্ত ক্রিয়া স্বয়ংক্রিয়, মস্তিষ্কের অংশগ্রহণ ছাড়াই ঘটে।
১১. প্রাণীদেহে নিয়ন্ত্রন এবং সমন্বয় সাধনের জন্য স্নায়বিক পদ্ধতি এবং হরমোন নিয়ন্ত্রিত পদ্ধতির মধ্যে তুলনা করো এবং এদের মধ্যে পার্থক্য নিরূপন করো।
উত্তর: (1) স্নায়বিক পদ্ধতি: দ্রুত সংকেত প্রেরণ করে, ক্ষণস্থায়ী প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। (2) হরমোন নিয়ন্ত্রিত পদ্ধতি: ধীরগতিতে কাজ করে, দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলে। (3) সংকেত: স্নায়বিক পদ্ধতিতে বৈদ্যুতিক সংকেত, হরমোন নিয়ন্ত্রনে রসায়নিক সংকেত। (4) নিয়ন্ত্রণ: স্নায়বিক পদ্ধতি শারীরিক কার্যক্রমের নিয়ন্ত্রণে কার্যকর, হরমোন নিয়ন্ত্রণ শরীরের দীর্ঘমেয়াদী কার্যকলাপের জন্য। (5) সমন্বয়: উভয় পদ্ধতি শরীরের কার্যক্রমে সমন্বয় সাধনে গুরুত্বপূর্ণ।
১২. সংবেদী উদ্ভিদের চলন এবং আমাদের পায়ের চলনের ধরনের মধ্যে পার্থক্য নির্দেশ করো।
উত্তর: (1) সংবেদী উদ্ভিদের চলন: স্বয়ংক্রিয় ও পরিবেশের প্রতি প্রতিক্রিয়া। (2) মানুষের পায়ের চলন: ইচ্ছাকৃত ও নিয়ন্ত্রিত। (3) প্রকৃতি: উদ্ভিদ নিজেদের অবস্থান পরিবর্তন করতে পারে না, মানুষ সচেতনভাবে চলে। (4) নিয়ন্ত্রণ: উদ্ভিদ পরিবেশের উপর নির্ভর করে, মানুষের চলন মস্তিষ্ক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। (5) উদ্দেশ্য: উদ্ভিদের চলন পুষ্টি ও আলোর দিকে, মানুষের চলন স্বাভাবিক কার্যকলাপের জন্য।